বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম হলো করোনা ভাইরাস। পুরো পৃথিবীতে এই ভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এটা এমন এক রোগ যা এক শরীর থেকে আরেক শরীরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভাইরাসের কোন প্রকার ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি তবে চেষ্টা চলছে খুব দ্রুত এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের। যেহেতু এর এই ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন নেই সেজন্য সচেতন থাকাটাই এর সবচেয়ে বড় সমাধান।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ

- করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণই জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া।
- শরীরে প্রচুর জ্বর থাকবে। জ্বরের তাপমাত্রা অনেক বেশি হবে সেই সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া ও শুকনো কাশি হবে। শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হবে। বুকে অনেক ব্যথা থাকবে।
- মাথায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব, মনে হবে কেউ মাথায় অনেক জোড়ে আঘাত করেছে।
- চোখে জ্বালা অনুভব হবে সেই সাথে চোখ দিয়ে পানি ও পড়তে পারে।
- কানের ভেতরে মাঝামাঝি অংশ এবং ভেতরের অংশে ব্যথা হতে পারে।
- প্রচন্ড গলা ব্যথা থাকবে ও শ্বাসকষ্ট হবে। খাওয়ার সময় ও গলায় অনেক ব্যথা অনুভব হবে।
- ঘাড়ে, কাঁধে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হবে মনে হবে যেন ঘাড়ের মধ্যে ভাড়ি কিছু রাখা হয়েছে।
- পুরো শরীরে ব্যথা থাকবে। গলা, মাথা, কান, বুক ছাড়াও হাতে এবং পায়ে প্রচুর ব্যথা থাকবে।
সচেতনতা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা জরুরি। যেহেতু এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা নেহাত কম নয় সেহেতু এই রোগ যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আসুন কীভাবে এই ভাইরাসের প্রবেশ থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ভালো রাখা যায় তা জেনে নেওয়া যাক।
- ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।খুব প্রয়োজন হলে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লোবস পড়ে নিতে হবে।
- হাঁচি ও কাশি আসলে টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিতে হবে। টিস্যু ব্যবহার করার পর ডাস্টবিন ফেলে দিতে হবে।
- বাইরে থেকে ঘরে আসলে গায়ে পোশাক খুলে ধুয়ে ফেলতে হবে। পারলে গোসল করে নিন আর তা না হলে হাত, পা, মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
- প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খাবেন। বাইরের খাবার পরিহার করুন।
- মাছ, মাংস ভালো করে পরিষ্কার করে বেশিক্ষণ রান্না করে খাবেন। খাবার সবসময় ঢেকে রাখুন।
- ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। যেমন, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আমলকি, আনারস বেশি করে খাবেন।
- এক জন অপর জন থেকে ১ মিটার পর্যন্ত দূরত্ব বজায় রাখুন।
- বেশি বেশি লাল চা, কফি পান করুন। আদা কুঁচি দিয়ে চা বানিয়ে পান করুন।
- অসুস্থ হলে আরাম করুন। অযথা ঘাবড়াবেন না।
- মনে রাখবেন আপনার সচেতনতা কিন্তু আপনাকে নিরাপদ রাখবে। তাই নিজে সচেতন হোন এবং অন্যদের বেশি বেশি সচেতন করুন।
পরিশেষে:
করোনা ভাইরাস যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অবশ্যই ঘরের বাইরে এই সময় বের হবেন না। হয়তো কিছুদিন ঘরে থাকতে কষ্ট হবে কিন্তু এর ফলে আপনি ও আপনার পরিবার থাকবে নিরাপদ।
আপনাদের মতামত অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখতে ভুলবেন না।